মায়াজম

♣শিশুর জন্মের পরবর্তী লক্ষণ সাদৃশ্যে মায়াজমের দোষ নির্ণয়। ★সোরিকঃ জন্মের পর শিশুর চর্মরোগ,ঘা,পাচড়া,চুলকানি,হাড়েঁর দুর্বলতা,টিসু সমুহের অপুষ্টি,ঘন ঘন একই রোগে ভোগা,হাম,উদরাময় ইত্যাদি দেখা যেতে থাকলে ঐ শিশুকে সোরিক সংক্রামিত বলে নির্ণয় করা ★সাইকোটিকঃ জন্মগত ভাবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে উপমাংস,আচিঁল,টিউমার অথবা জন্মের পর থেকে শ্বাসকষ্ট,জন্ডিস,চোখউঠা,দুর্গন্ধ অজির্ণ মল,হৃৎযন্ত্র আকারে বড়,তোতলামি,বায়ু নালী প্রদাহ,ঘুংড়ী কাশি বা গলদেশে প্রদাহ,মস্তিস্কে জলজমা,ফক্স ইত্যাদি শিশুর বাড়াবাড়ি বা ভান করার মত আচরণ,অপ্রয়োজনীয় অহেতুক বৃদ্ধি জনিত রোগকে সাইকোটিক মায়াজম নির্দেশ করে। ★সিফিলিটিকঃ শিশুর মুখে ঘা,বিভিন্ন বিষাক্ত ফোড়া,রক্ত দোষ,দেরীতে দাঁত উঠা,অল্প বয়সে দাঁতে পোঁকা,আমাশয়,রক্ত আমাশয়,ভগন্দর,মামস,কানপাকা,বোকা,অন্ধত্ব,মাথার হাড়ে কোমলতা বা দেরীতে জোড়া লাগা, বেটে ও বুদ্ধিহীনতা, অবিরত রাতে ক্রন্দন,হার্টে ছিদ্র থাকা,ঠোঁট কাটা,জিহ্বা কাটা,হাত -পা বা অন্যকোন অঙ্গে বিকৃত অবস্হা বা না থাকা,বাগী হওয়ার প্রবণতা।এছাড়া চরিত্রে এক ধরনের বদ মেজাজী ভাব,প্রতিশোধ পরায়ণতা,মানসিক ভারসাম্যহীনতা সহ ইত্যাদি লক্ষণ সিফিলিটিক মায়াজমের প্রতি সুস্পষ্ট চিত্র প্রকাশ করে। ★টিউবারকুলারঃ একই মানবদেহে ২টি বা তার বেশি মায়াজম মিলিত হলে তাকে টিউবারকুলার মায়াজম বলে। এ ধরনের শিশুতে কলেরা,পোলিও,বায়ুনালী প্রদাহ,পুরাতন কাশি,নিউমোনিয়া,অজ্ঞান বা ঘন ঘন খিচুনী,মৃগী রোগ,ছোট ক্রিমির উপদ্রপ, দাদ,শীর্ণতা,টনসিলাইটিস, সর্দি,হাচি,টাইফয়েড,মস্তিস্কে পানিজমা,স্বর ভাঙ্গা,ফেরিংজাইটিস,লেরিংজাইটিস,স্বতী,রিকেটস,মাথায় উকুন,অর্শ-ভগন্দর,চঞ্চলতা,কুকুর ভীতি,যা সহ্য হয়না তার প্রতি আসক্তি,অতি ঠান্ডা বা অতি গরমে অসুস্ততা সহ যেকোন সাধারণ রোগও আরোগ্য হতে দীর্ঘ সুত্রিতা টিউবার কুলার প্রকৃতির প্রতি ইংগিত প্রদান করে। আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস নতুন ডাঃ ভাই ও বোনদের অন্তরে লালিত হউক। অভিজ্ঞ ডাঃ ভাই ও বোনেরা কমেন্টের মাধ্যমে বাদ পড়লে এড করবেন আর ভুল হলে সঠিক টা তুলে ধরবেন। ডাঃ রওনক আরা খানম।

No comments:

Post a Comment