মাহমুদ হোমিও ক্লিনিক
ডায়াবেটিক,জন্ডিস,বন্ধ্যা,আচিল,শ্বেত,টিউমার,জ্বরায়ু টিউমার,মেচ,অর্শ,যৌন রোগ সহ অসংখ্য রোগের হোমিও চিকিৎসা দেওয়া হয়। মোবাইলঃ ০১৮-১৮৫-৪৮৮৭৬
মাহমুদ হোমিও ক্লিনিক
আগষ্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে অনেক ফোড়া, বাগী,বিষফোড়ার,রুগি এসেছে আমার চেম্বারের, সবগুলো আমার হোমিও চিকিৎসা পেকে চিকিৎসা হয়েছে, এই ধরনের রোগ পেকে চিকিৎসা করলে শরীরের অনেক উপকার হয়,তাই আপনাদের কে বলি আপনারা হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ থাকুন।
বিবাহিত বা অবিবাহিত প্রবাসী ভাইদের যৌন রোগের চিকিৎসা
প্রবাসী অবিবাহিত বা বিবাহিত ভাইগণ আপনারা দুই, তিন মাসের জন্য দেশে আসেন, তখন দেখা গিয়েছে আপনার যৌন সমস্যা দিয়েছে,তখন আপনি খুব চিন্তিত হয়ে যান চিকিৎসার জন্য এই দিক সেই দিক ছুটাছুটি করেন। বিভিন্ন প্রলোভনে পড়ে আগে যায় ছিলো সেটিও নষ্ট করে পেলেন।
তাই বলছি আপনি যখন বিদেশ থাকেন তখন একজন শুধু মাত্র ভালো মানের হোমিও ডাক্তারের সাথে আপনার যৌন সমস্যার কথা বলে দেশ থেকে ঔষধ নিয়ে বিদেশ থাকা অবস্থা চিকিৎসা নিন।
৪/৫ মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর তার পর বাড়ী আসার কথা চিন্তা করবেন।তার পর বাড়ী এসে আবার চিকিৎসা নিতে থাকবেন তখন ইনশাআল্লাহ আপনি একজন সুখী মানুষ হিসেবে পরিনত হবেন।
২৬/০৬/২০১৯ একজন ছুটিতে আসা রুগি আমার চেম্বারে এসেছে,৪ বছর হলো বিয়ে করছে। তখন ১ মাস ছিলো স্ত্রীর সাথে ২/৩ মিঃ সহবাস হতো।১ মাস পর রুগি বিদেশ চলে গেলো একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।
দুইবছর পর ২০ দিনের জন্য রুগি দেশে এসেছে ১/২ মিঃ সহবাস করতে পেরেছে,স্ত্রী খুব রাগ কথা বলেনা অভিমান করে থাকে। ছুটি শেষ আবার চলে গিয়েছে বিদেশ।
একবছর পর ৪০ দিনের জন্য এসেছে আগের মত অবস্থা কোন রকমে একবার সহবাস করতে পারলে আর হিট হয়না, রুগি গভীর নিদ্রা আসে যায়।খবর ও থাকেনা স্ত্রী এখন কথাও বলছেনা স্বামীর সাথে, ২৫/৬/২০১৯ তার ভাই আমার বন্ধু সে আমাকে ফোন দিয়ে যেনেছে আমার কাছে যৌন রোগের ভালো চিকিৎসা আছে কিনা, তখন আমি বলছি জ্বী ভালো চিকিৎসা আছে।পরের দিন ২৬/৬/১৯ আমার চেম্বারে হাজির দুই ভাই রুগি অনেক স্মার্ট & ভলমান একজন পুরুষ,কিন্তু নিছের বাবু ঠান্ডা,এই যে ২০/২২ দিন আছে দেশে এখন বউ কে দিবে যৌন তৃপ্তি, আর এখন এসেছে যৌন চিকিৎসার জন্য।
একটি যুবতী মেয়ে একবছর,দুইবছর পর স্বামীকে পায় মনে কথ বাসনা থাকে স্বামী আমাকে সুখ দিবে, কিন্তু স্বামী বাড়ী এসে জনমের ঘুমানের ঘুমায়,আর পাশে থাকা স্ত্রী জ্বলেপুড়ে চাই হয়।
এই কারনে সুন্দর বিল্ডিং, টাকাপয়সা, স্মার্ট স্বামী রেখে বিদেশীর স্ত্রীরা পরকীয়া করে থাকে।
দেশে এসে বিয়ে করবেন শুধু মাত্র জার্মানি হোমিও ঔষধ এবং ভালো মানের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা হয়ে দেশে এসে বিয়ে করুণ।
বিবাহিত দেশে আসবেন??? বিদেশ থাকা অবস্থা চিকিৎসা হয়ে তার পর দেশে আসার কথা মাথা আনবেন।
ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ মিয়াজী
ডি,এইচ,এম,এস,বি,এইচ,বি ঢাকা।
মাহমুদ হোমিও ক্লিনিক
সোনাইমুড়ী বাজার,বরুড়া,কুমিল্লা।
রেজিস্টার নাম্বার ২৫২৮৫
সোনাইমুড়ী চেম্বারে ২০০১ থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি।
ডাঃ নাসির 01818-548876
ডাঃনাসির উদ্দিন মাহমুদ মিয়াজী
যে সকল যৌবক বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন,তাদেরকে বলছি,আপনারা বিয়ে করার অন্তত ৪/৫ আগে থেকে হোমিও চিকিৎসা নিন,সুন্দর জীবন গড়ুন।
ডাঃ নাসির উদ্দিন মাহমুদ মিয়াজী
ডি,এইচ,এম,এস,বি,এইচ,বি ঢাকা
রেজিস্টার নাম্বার ২৫২৮৫
সোনাইমুড়ী বাজার,বরুড়া,কুমিল্লা
01818-548876
আরম্ভ করছি জুনিয়র হোমিওপ্যাথ বন্ধুদের নলেজ বাড়ানোর জন্য এক নতুন আঙ্গিকে ধারাবাহিক-----
এই ধারাবাহিকে মেটিরিয়া, অর্গানন, রেপার্টরী, প্রাকটিস অব মেডিসিন, প্যাথলজী, গাইনিকোলজী, সার্জারী, সব বিষয়ই সরস গল্পের মধ্য দিয়েই আলোচনা করবো।
ধারাবাহিকটার নাম----
" ডাঃ রবার্ট ও তার বাঙাল কম্পাউন্ডার "।
পর্ব------১---
তারিখ----২৮ / ০৬ /২০১৯
ডাঃ রবার্টের সকালের ব্রেকফাস্ট হয়ে গেছে। এখুনিই চেম্বারে বসবে। বেশ কয়েকজন রোগী এসেও গেছে। মদন সবার নাম লেখাচ্ছে। দুই একজন রোগী মদনকে পীড়াপীড়ি করছিলো---অনেক দূরে বাড়ী, যদি দয়া করে মদনবাবু একটু আগে দেখিয়ে দিতে পারেন। মদন বলছে--- আরে অত কাঁদলে হইবো না, অত ব্যস্ত হইলে এই চ্যাম্বারে দেখান্ যাইবো না।
ডাঃ রবার্ট ঢুকলেন। ২ জন রোগী সবে দেখা হয়েছে। হঠাৎ ৩/৪ জন লোক নিয়ে ঢুকে পড়লেন নীল পার্টির নেতা। নমস্কার, ডাক্তারবাবু, কেমন অাছেন? এই ভজা আমাদের পার্টির হোল টাইমার। ভোটের সময় বুথে ঢুকে আমাদের ক্যান্ডিডেটের ভোট বাড়াতে একটু সাহায্য টাহায্য করে আর কি। তা এর বাচচাটার কি হয়েছে একবার দেখুন তো। চেহারাটা এমন শুকিয়ে যাচ্ছে কেন?
ডাঃ রবার্ট দেখলেন, ৩ বছরের একটি বাচ্চার একেবারে রিকেটের মতন চেহারা। শরীর যত না রোগা পটকা,বা শুকনো, পা দুটি যেন বেশী শুকিয়ে গেছে। মদন বাঙাল আবার একটু হোমিওপ্যাথি শিখতে চায়। ডাঃ রবার্টকে সে বলেছে, স্যার যা হোক একটু শিখিয়ে দিন, আমি দেশে ফিইরা একটা D H M S সার্টিফিকেট ম্যানেজ কইরা নিবো, তারপর দ্যাশের বাড়ী বরিশালের ঝালকাঠিতে বইস্যা যামু। সেইজন্য ডাঃ রবার্ট মদনকে মাঝেমধ্যে কি ওষুধ দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, কোন ওষুধের কি সিমপটম, কি রোগ, রেপার্টরীতে কোথায় কিভাবে দেখতে হয়, সবই একটু আধটু বুঝিয়ে দেন।
এই বাচ্চাটিকে দেখে ডাঃ রবার্ট তাই মদনকে বলতে আরম্ভ করলেন---
" মদন, যখনই কোন বাচ্চার এইরকম এমাসিয়েশন বা শুকিয়ে যাওয়া ভাব শরীরের নীচের দিকে দেখবে, সঙ্গে সঙ্গে মাথায় যে ঔষধগুলি আনবে তা হলো--- এ্যব্রোটেনাম, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম, আয়োডিয়াম, নেট্রাম মিউর, স্যানিকিউলা, টিউবারকিউলিনাম, গার্টনার, ইত্যাদি ।
মদন বললো, কিন্তুু স্যার, গার্টনারের কথা ত শুনি নাই। এক ধমক দিলেন ডাঃ রবার্ট, --- গাধা কোথাকার। এটি একটি বাওয়েল নোসোড। চেম্বারে যেদিন রোগী কম থাকবে, সেদিন বাওয়েল নোসোড কি, কে আবিষ্কার করেছিলো, কিভাবে আবিষ্কার করেছিলো, কিভাবে কাজ করে, সব বুঝিয়ে দেবো।
আজ শুধু জেনে রাখ্ , অনেক হোমিওপ্যাথ ডাক্তার জানে না ম্যারাসমাসে বা ম্যালনিউট্রিশনে যখন কোন বাচ্চা বুড়ো, যে কেউ একেবারে জরাজীর্ণ চেহারায় চলে যায়, গায়ে হাড় আর চামড়া ছাড়া যখন কিছুই দেখা যায না, তখন অন্যান্য ঔষধের মতন গার্টনার ও একটি মূল্যবান ঔষধ। তবে ২০০ ১টি মাত্র ডোজ দিবি, এবং কমপক্ষে ১ মাস অপেক্ষা করবি। তারপর দেখতে পাবি চেহারার উন্নতি হচছে।
---- তা বুঝলাম, কিন্তু ঐ এব্রোটেনাম আয়োডাম, নেট্রাম মিউর, এসব ঔষধগুলির মধ্যে পার্থক্য কিভাবে করবো?
গাধা কোথাকার---- অন্যান্য সিমপটমস দিয়ে, মানে --- অন্য সব সিমপটমস দেখে বা শুনে। যেমন, এই বাচ্চাটির কোন্ ঔষধ আসবে দ্যাখ ---
এই কথা বলে ডাঃ রবার্ট বাচ্চাটির বাবা মাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকলেন। মদন একটু বাইরে গেলো রোগীদের সিরিয়াল দেখাশোনা করতে। ৫ মিনিট পরে মদন ঘরে ঢুকতে ডাঃ রবার্ট বললেন, মদনা ---- আমার ঔষধ সিলেকসন হয়ে গেছে। এই বাচ্চাটিকে দিতে হবে -- আর্জেন্টাম নাইট্রকাম। কেন? মদন জিজ্ঞেস করে।
---- বাচ্চাটির চিনির উপরে খু্ব লোভ, যখনই চিনি বা গুড় সামনে পায়, তুলে খায়, পেটে খুব গ্যাস হয়, বাচচাটি খুব নার্ভাস, দেখছিস না কেমন ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ওর মায়ের কোলে বসে আছে? কিন্তু জানিস, আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম বাচ্চাদের মিষ্টি খেলে সহ্য হয় না, পরে ডায়েরিয়া বা আমাশাতে ভোগে। জিজ্ঞাসা কর্ তো ওদেরকে, সেইরকম কোন ব্যাপার হয় কি না। মদন বাচ্চার মাকে জিজ্ঞেস করলো, মিষ্টি খাওয়ার পরে বাচ্চাটির পায়খানার কোন পরিবর্তন ওরা দেখে কি না। ওর মা বললো--- হ্যাঁ কম্পাউন্ডারবাবু চিনি বা মিষ্টি খেলে ছেলেটার আমাশার মতন হয়। আবার যখন উঠোনে পায়খানা করে, দেখেছি পায়খানা করলো হলুদ, কিন্তু একটু পরেই তা কেমন সবুজ বা সবজেটে রংয়ের হয়ে যায়।
--- তাহলে মদনা, এই সব অদ্ভুত সিমপটমস গুলি খেয়াল রাখতে হবে।
আবার আর্জেন্টাম বাচ্চারা কিনতু নেট্রাম মিউর, থুজা, মেডো, এদের মতন কাঁচা লবনও একটু খেতে পছন্দ করে। দেখি জিজ্ঞেস করে, কি বলে ওর মা?
----- এই মেয়ে, তোমার বাচ্চাটি কি লবনের পাত্র থেকে মাঝেমধ্যে একটু লবন তুলে খায়, মানে লবন বুঝলেও কি তা খায়?
--- হ্যাঁ, ঠিক কথা মনে করেছেন ডাক্তারবাবু, ছেলেটার এই দোষটাও আছে। লবন দেখলেই চিনি খাওয়ার মতন একটু তুলে খায়।
কিরে, দেখলি ত মদনা, কি বললাম? তুই কেন্ট রেপার্টরীতে ৪৮৬ পাতায় Stomach চ্যাপটারে Desire রুবরিকে Salt things দেখবি, Argentum Nitricum 1st grade এ দেখতে পাবি। ওখানে লবন খেতে চায়, Argentum Nit. ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঔষধ দেখতে পাবি ---- CV, Caust, Con, Lac Can, Lyss, Medo, NM, NA, Phos, VA, etc.
---- ঠিকই, অনেক কিছুই শেখার আছে। কিন্তু আপনি স্যার যেভাবে জিজ্ঞেস করেন, এইভাবে নাকি জিজ্ঞেস করা বারন? এটাকে অনেকে কইতেছে, বড্ড লিডিং কোশচেন করা হইত্যাছে। এটা নাকি হ্যানিমানের বিরুদ্ধচারন?
---- আচ্ছা মদনা্, তোকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, তোমার নাম কি ভাই? তুই কি মদন বাদে অন্য নাম বলবি? কেউ যদি মিষ্টি খেতে ভালবাসে, আর তাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কি মিষ্টি খেতে ভালবাসেন? তাহলে কি সে বলবে, না আমি মিষ্টি ভালবাসি না? যারা রোগী দেখে কম, সারাতে পারে কম, তারা এই সব নানারকম থিওরিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে কপচাতে থাকে , চলতি বাংলায় একটা কথা অাছে --- নেই কাজ, তো খই ভাজ, তাই আর কি। এরা অনেকে বলতে চাইছে ----রোগীকে এইভাবে জিজ্ঞেস করো---- " আচ্ছা, টক, ঝাল, মিষ্টি, নোনতা --- কোনটা আপনি বেশী পছন্দ করেন? আমি অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রোগী গুছিয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারে না। সেখানে আমি যদি ক্যাটিগরিক্যালি বা ইনডিভিজুয়ালি আলাদা অালাদা ভাবে জিজ্ঞেস করি--- আপনি কি মিষ্টি ভালবাসেন? টক কেমন পছন্দ করেন? তিতা মানে উচছে, করলা, এসব খান ? যার যেটা সত্য কথা বলার প্রযোজ্য, তা কি সে মিথ্যা বলবে? বরং একটা করে আইটেম আলাদা ভাবে জিজ্ঞেস করে, রোগীর চোখের দিকে তাকিয়ে এবং বলার কায়দা দেখে সে পছন্দ করে কি না, এবং করলে কতটা করে, তার গ্রেডিং করা যায়। তার কথা বলার ধরণ ও উচচারনের ভঙ্গিমার উপরেই, +, বা, ++ বা, +++ দেব কি না ঠিক করা সম্ভব হয়। রোগীর পাশে থাকা বাড়ীর লোকের বলার ভঙ্গিমার বা থ্রো করার উপরে-ও সিমপটমসটার গ্রেডিং করা যায়।
সেইরকম ফ্যামিলি হিসটরী নেওয়ার সময় বংশে কোন বড় অসুখ কারুর ছিল কি না, জিজ্ঞেস করায় অনেকেই কোন চিন্তা ভাবনা না করেই প্রথমেই দুম করে বলে---- না, ওসব কিছু ছিল না । কিন্তু ক্যাটিগরিক্যালি যখন ক্যানসার কারুর হয়েছিলো? টি বি কারুর হয়েছিলো ? মাথা খারাপ কারুর হয়েছিল ? ---- এইভাবে জিজ্ঞেস করা মাত্র --- হ্যাঁ, টি. বি. মায়ের হয়েছিলো, ক্যানসার দাদুর হয়েছিলো, হাঁপানি বোনের ছিলো, ইত্যাদি, বেরিয়ে পড়ে। ইনডিভিজুয়াল রোগের নাম ধরে লিডিং কোয়েশচেন ছাড়া কখনই সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না, আজ পর্যন্ত কেউ দেয় নি। কি বলে দেখার জন্য মাঝেমাঝে ২/১ জনকে জিজ্ঞেস করি---- এইমাত্র যে বললেন কারুর কিছু হয় নি, বা ছিল না। এখন কতগুলি বড় অসুখের নাম বললেন? ----- উত্তর দেয়---- অত বুঝতে পারিনি, খেয়াল করিনি, ও! এইগুলি জানতে চেয়েছিলেন, আমি ঠিক বুঝতে পারিনি, ইত্যাদি।
----- আসলে কি জানিস মদনা, এরা হ্যানিম্যানের অর্গাননের কিছু কথা তোতা পাখীর মতন আওড়াতে শিখেছে, তার প্রাকটিক্যাল ইমপ্লিকেশন করে রোগী আরোগ্য করার ছন্দটা বোঝেনি। হ্যানিমান বলতে চেয়েছেন ২ টি কথা ---- ১) রোগীর কথা বলতে থাকাকে বাধাপ্রাপ্ত করে তার কথার খেই হারাতে দিও না, ২) লিডিং কোয়েশচেন এমন করো না --যেখানে সে হ্যাঁ, না বলে বেরিয়ে যায়। ব্যাস, এই যে হ্যানিমান বলেছে বলে তা গায়ত্রী মন্ত্র বানিয়ে লাফাতে হবে ? রোগী তার রোগ সারাতে এসেছে, সে কি মিথ্যাভাবে হ্যাঁ কে না, আর না কে হ্যাঁ বলবে? তাছাড়া আগেই ত বলেছি --- ক্যাটিগরীক্যালি জিজ্ঞেস করলে রোগী ঠিক বলছে কিনা, বা সিমপটমটি কতটা গুরুত্ব পাবে তাও পরিষকারভাবে বোঝা সম্ভব হয়। লিডিং কোয়েশচেনে রোগী হ্যাঁ বা না বলবে, ফলে কেস টেকিংয়ে গলদ থেকে যাবে, কেন তুমি তোমার সাইন্ড সেন্স দিয়ে ইন্টারপ্রিটেশন করবে না? তাহলে তুমি কিসের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার? রোগী হ্যাঁ, না, বলবে আর তুমি তাই লিখে কম্পিউটারে ঔষধ সিলেকসন করবে, এই মনোভাব নিয়ে তুমি ঔষধ সিলেকসন করবে? এই মনোভাব নিয়ে তুমি হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করবে? তা যদি ভাবো, একটি কেসও সারাতে পারবে না। সব কেসেই ভুল ঔষধ সিলেকসন করবে।
মদনা আরও একটি উদাহরণ শোন। তুই রোগীকে জিজ্ঞেস করলি, ঘুম কেমন? অনেকেই বলে--- নাঃ ঘুম ভাল না, বড্ড কম। ইন্টারপ্রিটেশন করে ভেরিফিকেশন না করলে তুই লিখবি, ঘুম কম। এবারে ধর আমি তাকে প্রশ্ন করলাম-----রাতে কটায় ঘুমাতে যান? ---- ১০ টায়। --- কটায় ওঠেন? সকাল ৬ টায়। ----- মাঝখানে কি ঘুম ভাঙে? ------ না, তা ভাঙে না। রোগীর বয়স ৬০, সুতরাং এই বয়সে ৬ ঘন্টা সাউন্ড স্লিপকে কি ঘুম কম বলা যাবে? তুই কোয়েশচেয়েনিয়ার না করলে ত ঘুম কম লিখতিস। তাহলে তোর সেই সব অর্গানন পন্ডিত বাবুরা কি বলবেন? এইসব ইন্টারপ্রিটেশন করাকে ত লিডিং কোয়েশচেন করার তকমা লাগাবেন।
--- মদনা, আসল উদ্দেশ্য ত ভালভাবে কেসটেকিং করা। তা তুই যে টেকনিকে, যে আর্টে করিস না কেন, সঠিকভাবে তা করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করাটাই ত আসল কাজ। হ্যানিমানের একটি দুটি শব্দ নিয়ে ভীষণ পন্ডিত সেজে নাটক করার কোন প্রয়োজন নেই। রোগ সারাও, রোগী আরোগ্য করে দেখাও।
জানিস মদনা, এখানে যে লাল পার্টি বলে একটা রাজনৈতিক দল ছিলো, তাদের অনেকেই মানুষের জন্য ভাবতো না, মানুষের জন্য কিছু করতো না, মানুষের কোন উপকারে আসতো না ---- কিন্তু মিটিং মিছিল হলেই গর্ত থেকে পিঁপড়ে বেরুনোর মতন বেরিয়ে পড়তো, হাতে কিছু ব্যানার থাকতো ---- যেখানে লেখা থাকতো--- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, বুর্জোয়া নিপাত যাক, ইত্যাদি। একটি শব্দের ও মানে বুঝতো না, কিন্তু লেখাগুলির পোস্টার হাতে উঁচু করে ধরে ভাব দেখাতো খুব বড় শিক্ষিত বাম নেতা তারা। তা আমাদের হোমিওপ্যাথিতেও সেই অবস্থা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক বিষয় সম্মন্ধে কিছুই জানি না, প্রাকটিকাল এ্যাপলিকেবিলিটি জানি না, লিমিটেশনস অব হোমিওপ্যাথি জানি না, রোগী দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করি না, কেবল রবীন্দ্রনাথের সেই লেখার মতন------ " আমরা আড়ম্বর করি, কাজ করি না। সকল বিষয়ে পরের প্রত্যাশা করি অথচ পরের ভুলত্রুটি লইয়া আকাশ বিদীর্ণ করিতে থাকি "।
হ্যানিমান যেভাবে মাদার টিংচার তৈরী করতে বলেছিলেন, সেভাবে জারের মধ্যে এ্যাবসলুট এ্যালকোহলের সাথে ড্রাগ সাবসটেন্স ভিজিয়ে ১৫ দিন অন্ধকার ঘরে না রেখে পারকোলেশন, ম্যাসারেশন, ইত্যাদি মডার্ণ যন্ত্রের মাধ্যমে তা অতি দ্রুত বানানো হচ্ছে । পোটেনটাইজেসনের ঝাঁকি হাতের তালুতে বারবার না মেরে অটোমেটিক মেশিনে করা হচ্ছে । কোন ক্ষেত্রেই মাদারের কোয়ালিটি, বা পোটেনটাইজেসনের কোয়ালিটি খারাপ হচ্ছে না। তাহলে এসব ক্ষেত্রে হ্যানিমানের কথা, হ্যানিমানের লেখা মানা হচ্ছে না বলে ঐসব পন্ডিতরা লাফাচ্ছে না কেন মদনা? আসল কথা হলো to find out a similimum by your own technique, by your own capacity, by your own intellect and acumen, which cannot be understood by underleveled brain analysis.
---- যাঃ, আপনারে রাগাইয়া দিয়া কি সর্বনাশ হইলো, বাইরে অনেক রোগী অপেক্ষা করতাছে, মদন বলে উঠলো।
----- অপেক্ষা করুক, আগে শেখ্ মদনা। এই যে হাতের বা পায়ের Emaciation, কেন্টের রেপার্টরীতে কোথায় দেখবি জানিস?
---- তা জানলে কি আপনার এহানে পইড়া থাকি?
---- শোন তবে, খুলবি Extremities চ্যাপটার। পেজ নং ৯৮৫, দেখতে পাবি Emaciation, বামদিকের কলমের নীচে অারমভ হয়েছে। প্রথমে দেখবি, Emaciation, in general ঔষধগুলির নাম। তারপরে দেখবি --Emaciation, diseased limb--- মানে ব্যথা, বা অন্য কোন রোগ যেখানে হয়েছে বা দেখা দিয়েছে --- সেই জায়গাটা শুকিয়ে যাচ্ছে ।
তারপর দেখবি Upper Limbs, তারপর দেখবি Upper limbs র আলাদা আলাদা পার্টসের--- Shoulder, Upper arm, Forearm, Wrist, Hand, Thumb, Fingers.
দেখবি পরপর বড় জায়গা থেকে ভিতরে ঢুকছে। এই হলো কেন্টের রেপার্টরীর ফিলজফি, অর্থাৎ----- General to Particular.
তারপরে দেখবি-- Emaciation --- Lower Limbs, যেটা এই বাচচার জন্য তোর দেখার দরকার।
দেখ--- সেই General to Particular , একই ফর্মুলা।
প্রথমে Lower Limbs in general, তারপরে Buttock, = Nates, কারন বোনিংহোসেন, কেন্টের সময়ে Anatomy তে বাটককে নেটস বলা হতো। তারপর দেখবি পরপর---- Hip, Thighs, Leg, Foot.
মদনা, তাহলে তুই Emaciation, Lower Limbs in general মেডিসিনসগুলি কি কি অাছে দেখতে পাবি ----
দেখতে পাবি, অাছে----Abrot, Apis, Arg Nit, Ars, Calc, Plb, Sanic, ইত্যাদি ঔষধ।
দেখ্ মদনা, Lower limbs র emaciation এ CC 2nd grade এ অাছে। সবাই জানে CCর সারা শরীর মোটাসোটা , থলথলে। কিন্তুু তার যে Lower limbs শুকিয়ে যেতে পারে, তার খবর কজনে রাখে? এখন রেপার্টরীতে আমার নলেজ থাকার জন্য অন্য আর ২/১ টি সিমপটমস মিলিয়ে যদি আমি কখনো CC দিতাম, তাহলে রেপার্টরীর নলেজ কম থাকা বাবুরা বলতেন---
গেল রাজ্য, গেল মান,
----- বলে কোরাস গাইতে উঠতো। কিনতু তাদের অজ্ঞতা তারা বোঝার চেষ্টা করবে না।
---- মদন টেবিল থেকে রেপার্টরীটা নিয়ে শেখার জন্য একেবারে ৯৮৫ পাতা খুলে দেখে নিতে চাইলো। সব দেখে, এবং চারিদিকে চোখ বুলিয়ে মদনা চেঁচিয়ে উঠলো, স্যার-----
-----কি হল রে?
----- স্যার, Emaciation, Lower extremities, Medicines in general এ Nux Vom, Rhus Ven, এসব ঔষধের কোন নামই নেই, কিন্তু Legs র ঘরে দেখছি এই দুইটি ঔষধ একেবারে 1st grade এ আছে। তাহলে এই দুইটি ঔষধ ত Emaciation, Lower Limbs,এ in general rubric এ দেওয়া উচিত ছিলো।
----মদনা, এইটাই হল কেন্টের রেপার্টরীর একটা বড় ড্রব্যাক, বা ডিমেরিট রে।
আমরা সবাই বলি কেন্ট খুব বুদ্ধিমান লোক ছিলেন, কিন্তু সব জায়গায় সঠিকভাবে বুদ্ধি ব্যবহার করেনি বা করতে পারেনি।
---- তাহলে আমি বাচচাটিকে Argentum Nitricum দিয়ে ছেড়ে দিই। কত পোটেনসি কত ডোজ দেব স্যার? ---- বললো মদন।
দেখ্ মদনা, বাচ্চাটির vitality weak, মানে জীবনীশক্তি বড়ই দূর্বল। দেখেই ত বুঝতে পারছিস। এসব কেসে প্রথম বারেই চট করে বেশী হাই পোটেনসি দেওয়া যায় না। মিলিসিমাল পোটেনসি হলে সব থেকে ভালো, ০/১ দিয়ে অারমভ করা যেতো। কিন্তু আমাদের যেহেতু Argentum Nitr. মিলিসিমাল নেই, তুই ৩০, ৪টি ডোজ দিয়ে ছেড়ে দে।
---- স্যার এই পোটেনসি আর ডোজের ব্যাপারে একদিন একটু আলোচনা করবেন, ভাল বুঝি না।
ঠিক অাছে হবে, এখন পরের রোগী ডাক, ডাঃ রবার্ট বললেন।
চলবে।ডাঃ রবিন বর্মন, ভারত
Subscribe to:
Posts (Atom)